গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলার টোক ইউনিয়নের সালুয়াটেকি এলাকার বহুল আলোচিত ইদ্রিস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর। তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী শহরটোক এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে দুখু মিয়া সুমন(২২)কে (২৫ শে আগষ্ট) ভোরে টোক বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এক বছরের মাথায় রহস্যের জট খুলেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সালুয়াটেকি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৩০)র মৃত দেহ, ১ নম্বর আসামী সৈয়দ জহির আহসান জাহিদ এর নানার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে পুকুর পাড়ে গলায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে নিহতের মাতা মোর্শেদা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা তিন-চার জনের আসামীর বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন।
মামলাটি কাপাসিয়া থানা পুলিশ প্রায় চার মাস তদন্ত করে। এরপর পিবিআই গাজীপুর কাছে তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধন ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, থানায় দায়েরকৃত মামলার ১ নম্বর আসামি জাহিদের সাথে তার মামা রবিন ভূঁইয়ার ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ইদ্রিস প্রথমে জাহিদের পক্ষ নিয়ে জমি দখলে সহযোগিতা করেন।পরে জাহিদের সাথে দ্বন্দ্ব হলে তিনি রবিন ভূঁইয়ার সাথে যোগ দেন। ঘটনার তিন দিন আগে জাহিদ তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে ইদ্রিসকে ভয় দেখান।
এই সুযোগে রবিন ভূঁইয়া গ্রেফতারকৃত সুমন ও তার সহযোগীদের সাথে ইদ্রিসকে হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। পরে ২৪ আগস্ট রাতে ইদ্রিসকে ইয়াবা আনার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নেওয়া হয়।
সেখানে তারা ছুরি দিয়ে ইদ্রিসের গলায় আঘাত ও মারপিট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর লাশ জাহিদের থাকার ঘরের পেছনে পুকুর পাড়ে ফেলে রাখেন।