গাজীপুরের কাপাসিয়ায় তরগাঁও গ্রামের মো. জয়নালের ছেলে নাঈম একই এলাকার মো. কাজিমউদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়ার (৪৫) সহযোগিয়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ও কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। কয়েকদিন পর নাঈম আবারো হুমকি দেন ধর্ষণ করতে না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে।
১৪ আগস্ট সকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করলে আসামিদের গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী এক ব্যক্তি তার সাথে কর্মরত সিরাজগঞ্জ জেলার মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। মাহবুব পাওনা টাকা পরিশোধ না করেই বেশ কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে সিরাজগঞ্জের বাড়িতে স্থায়ীভাবে চলে আসেন।
পরে তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোনো উপায় না পেয়ে দুই সন্তানের জননী ওই প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) প্রতিবেশী ভাগিনা মো. নাঈমকে (৩৫) নিয়ে বেশ কয়েকবার সিরাজগঞ্জে গিয়ে পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দিয়ে আসেন। নাঈম তরগাঁও গ্রামের মো. জয়নালের ছেলে।
সম্প্রতি নাঈম ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে মাহবুব যে কোনো দিন খুব ভোরে টাকা নিয়ে কাপাসিয়া আসবেন। তখন খবর দিলে তিনি যেন নাঈমের বাড়িতে চলে আসেন। কথামতো গত ৩ আগস্ট ভোর ৪টার সময় একই এলাকার মো. কাজিমউদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) ওই প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে জানান, মাহবুব কিছুক্ষণ আগে নাঈমের বাড়িতে এসেছেন, তিনি যেন দ্রুত সেখানে যান।
এ সময় দুলাল মিয়ার সাথে তিনি নাঈমের নির্জন বাড়িতে গেলে একপর্যায়ে দুলাল মিয়ার সহযোগিতায় নাঈম তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে নাঈম এবং দুলাল মিয়া তার শরীর থেকে স্বর্ণের একটি চেইন, একজোড়া কানের দুল ও একটি আংটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে তার ও সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। এর কয়েক দিন পর নাঈম তাকে ফোন করে জানায়, সে কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রেখেছে, তাকে যদি ওই প্রবাসীর স্ত্রী আবারো ধর্ষণের সুযোগ না দেয় এবং দুই লাখ টাকা না দেয় তবে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেবে।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় (নং-১৪/৮২) দুই আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।