ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে কাতারও পাকিস্তান। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লোলওয়াহ রাশিদ আল-খাতের জানিয়েছেন, বাহারাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না দোহা।
রাশিদ আল-খাতের বলেন, “আমরা মনে করি না যে, ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং এটি কোনো জবাবও হতে পারে না।” আমেরিকার ব্লুমবার্গ টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
রশিদ আল-খাতের বলেন, “এই সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের করুণ অবস্থা এবং সমস্ত সূচকের নিচেই তাদের জীবন মান। ফিলিস্তিনিরা এখন এমন একটি জাতি যাদের কোনো দেশ নেই এবং তারা দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস করছে।” সাক্ষাৎকারে তিনি কাতারের উপরে সৌদি জোটের অবরোধের বিষয়েও কথা বলেন।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাইরে যায়। ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ইসরাইলকে যেকোনো ধরনের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের মুখে পড়বে।
ইমরান খান অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেন যদি, সারা পৃথিবীও ইসরা্লকে স্বীকৃতি দেয় তাহলেও ইসলামাবাদ তা করবে না এবং কখনো ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছার সাথে সাংঘর্ষিক কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। ইমরান খান স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান সরকার কখনো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মৌলিক নীতির সঙ্গে আপোস করবে না।
পাক প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন- “যখন ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না তখন আমরা কিভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করি?”
পার্সটুডে