ইস্রায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে, তেল আবিব বলেছে এই চুক্তি ফিলিস্তিনের ভূমি অধিগ্রহণকে ‘বিলম্ব’ করবে।
আমেরিকার মধ্যস্থতায়, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। ফিলিস্তিনিরা এই চুক্তিকে ” বিশ্বাসঘাতকতা” বলে অভিহিত করেছে।
এ বিষয়ে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘আজ এক বিশাল সাফল্য এসেছে! আমাদের দুই বন্ধু রাষ্ট্র ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হলো।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টুইটারে চুক্তি সইয়ের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এ অঞ্চলের জন্য এটি এক কূটনৈতিক জয়।”
তিনি আরও বলেন, “আরব-ইসরাইল সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এ চুক্তি উত্তেজনা নিরসন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য নবদ্যেম সঞ্চার করবে।”
HUGE breakthrough today! Historic Peace Agreement between our two GREAT friends, Israel and the United Arab Emirates!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) August 13, 2020
এটি ইসরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোন আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে।
সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন।