ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে ঢুকে পড়া ইসরাইলের একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার দাবি করেছে। ওই যানে ১৪ জন ইসরাইলি সেনা ছিল বলেও দাবি করেছে হামাস।
হামাস পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশনে ওই সাঁজোয়া যানটি ধ্বংস করার ভিডিও চিত্র সম্প্রচার করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে ইসরাইলের কয়েকটি সাঁজোয়া যান সারিবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আল-কাসসাম ব্রিগেডের নিক্ষিপ্ত একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি বহরের একেবারে সামনের যানটিকে আঘাত করে সেটিকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পরিণত করে।
আল-কাসসাম ব্রিগেড গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘করনেট’ ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার জন্য সরলরেখায় না গিয়ে আঁকাবাঁকা পথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এক সময় দখলদার সেনাদের সাঁজোয়া যানটিকে আঘাত করছে। হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকার শুজাইয়া এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকার সীমান্ত জুড়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তেল আবিব গাজায় স্থল অভিযান চালানো হুমকি দিলেও বড় ধরনের কোনো স্থল অভিযান এখনও শুরু হয়নি; যদিও বিমান হামলা চালিয়ে তারা হাজার হাজার নিরস্ত্র নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে। তবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাতে দখলদার সেনারা তাদের ভাষায় স্বল্প মাত্রার স্থল অভিযান চালিয়ে আবার ফিরে যাওয়ার কথা প্রচার করেছে।
ইসরাইলি সেনারা বারবার গাজায় ঢুকে কেন বেরিয়ে যাচ্ছে তা আল-কাসসাম ব্রিগেডের এই ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট হলো। হামাসের হাতে স্থল অভিযানে মার খাওয়ার পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল (শনিবার) এক বক্তব্যে বলেছেন, গাজার অভিযান হবে ‘অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘ।’