তাইওয়ানকে
Advertisements

ইরানের পরমাণু সমঝোতায় আবার ফিরে যাওয়ার বিষয়টিকে মার্কিন সিনেটে অনুমোদন করিয়ে নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একদল রিপাবলিকান সিনেটর। তারা বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য যেকোনো চুক্তি সিনেটে উত্থাপন না করলে তারা ওই চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করবেন এবং পরবর্তীতে রিপাবলিকনরা হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা গ্রহণ করলে সেটি বাতিল করার ব্যবস্থা করবেন।

পরমাণু সমঝোতার ঘোর বিরোধী সিনেটর টেড ক্রুজের নেতৃত্বে ৩৩ জন রিপাবলিকান সিনেটর জো বাইডেনকে ওই চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা’ তা তারা যাচাই করে দেখতে চান। যদি তা করতে দেয়া না হয় তাহলে চুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে তারা সর্বোচ্চ বাধা দেয়ার চেষ্টা করবেন।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যখন ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা চলছে তখন রিপাবলিকান সিনেটররা এ হুঁশিয়ারি দিলেন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইরান সরাসরি ওই সংলাপে বসেছে এবং আমেরিকা পরোক্ষভাবে এ সংলাপে অংশ নিচ্ছে। ভিয়েনা থেকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আরোপের বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে উভয় পক্ষ সমঝোতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিলেন। কিন্তু ওই সমঝোতা মার্কিন সিনেটে অনুমোদন করা হয়নি যার ফলে পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করে সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিতে পেরেছিলেন। সিনেটে অনুমোদন করা থাকলে ট্রাম্পের পক্ষে অতো সহজে এই ধ্বংসাত্মক কাজটি করা সম্ভব হতো না।

এবার ভিয়েনা সংলাপে ইরানের অন্যতম দাবি হচ্ছে, এমন একটি চুক্তি করা যা আমেরিকার পরবর্তী কোনো সরকার আবার বাতিল করতে না পারে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী তা করার জন্য সম্ভাব্য চুক্তির ব্যাপারে সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন।

বর্তমানে মার্কিন সিনেটে বিরোধী রিপাবলিকান ও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক উভয় পার্টির সমান সংখ্যক আসন রয়েছে। কাজেই যেকোনো বিল সিনেটে তুললে তার পক্ষে-বিপক্ষে সমানসংখ্যক ভোট পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পদাধিকার বলে একটি ভোট প্রয়োগ করে ওই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারবেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট সাধারণত সিনেটের অধিবেশনে অংশ নেন না; তবে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের হাতে এই ক্ষমতাটি রাখা হয়েছে।

Advertisements