ইরাকের আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, কনসুলেট ভবন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে।
হামলা সম্পর্কে ইরাকের গণমাধ্যম প্রথমে কয়েকজন কুর্দি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছিল যে, কুর্দিস্তানের রাজধানী এরবিলে আজ (রোববার) দিনের প্রথমভাগে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে তবে এ পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।
পরে কুর্দিস্তান অঞ্চলের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এরবিল হামলায় প্রায় ১২৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
কুর্দিস্তান অঞ্চলের কাউন্টার টেরোরিজম এর মহাপরিচালকের বরাত দিয়ে ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরাকের বাইরে থেকে এরবিলে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। খবরে বলা হয়- আমেরিকার নতুন কনসুলেট ভবন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং এররবিল বিমানবন্দরের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কিছু কিছু রিপোর্ট বলা হয়েছে, বাগদাদের গ্রিন জোন এলাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সাইরেন অ্যালার্ম সক্রিয় করা হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হামলাকে ‘জঘন্য আক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেছে তবে হামলায় কোন হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
ইরাকের গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পর এরবিলের আকাশে মার্কিন সামরিক বিমান টহল দেয় এবং বেসামরিক বিমানের ওঠানামা স্থগিত করা হয়। হামলার ফলে এরবিলের মার্কিন ঘাঁটিতে ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়।
ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে দেশটির জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। ইরাকে মার্কিন দূতাবাস সামরিক ঘাঁটি ও কনসুলেট ভবনগুলো মাঝেমধ্যেই এ ধরনের সভা-সমাবেশ শিকার হয়ে থাকে।