ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান-কবলিত নাইজারের সামরিক সরকার দেশটি ত্যাগ করতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিলেও দেশটিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সেদেশ ত্যাগ করবেন না। তিনি গতকাল (সোমবার) রাজধানী প্যারিসে কূটনীতিকদের এক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে একথা ঘোষণা করেন।
ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ নাইজারের সামরিক সরকার সম্প্রতি ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাকে দেশটি ত্যাগ করতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দিয়েছিল যা এরইমধ্যে পার হয়ে গেছে।
নাইজারের সামরিক সরকার বলেছে, প্যারিস নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এছাড়া, নিয়ামিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে নাইজারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা সত্ত্বেও তিনি আসতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে একথা স্বীকার করেন যে, আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তার দেশের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদান থেকে শুরু করে নাইজার পর্যন্ত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ফ্রান্স ও তার কূটনীতিকরা কঠিন সময় পার করছেন। ম্যাকরন দেশে দেশে ফরাসি কূটনীতিবিদরা ‘সাফল্যের সঙ্গে’ কাজ করায় তাদের ধন্যবাদ জানান।
নাইজারে যে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে তা জনসমর্থন পেয়েছে বলে দৃশ্যত মনে হচ্ছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হাজার হাজার জনতা সেনা শাসকদের পক্ষে মিছিল করতে রাস্তায় নেমেছেন। তারা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য একাধিকবার ফরাসি দূতাবাসও ঘেরাও করেছেন।
ম্যাকরন তার বক্তব্যে আবারও নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজুমের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন। আমেরিকা ও ইউরোপের কোনো কোনো সূত্র থেকে বাজুমের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানোর যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।