আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা তার সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে আমেরিকানদের ২০ বছরের অবৈধ দখলদারিত্বে অবসান হলো।
গতরাতে কাবুল বিমানবন্দর থেকে আমেরিকার শেষ ফ্লাইট হিসেবে একটি সি-১৭ বিমান উড্ডয়ন করে এবং এর মধ্যদিয়ে আফগানিস্তানের আকাশ দখলদার মুক্ত হয়।
তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের একদিন আগে থেকে আমেরিকা সামরিক ও বেসামরিক লোকজন প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত তারা ও আমেরিকার মিত্র দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে এক লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে সেনাসহ আমেরিকার ৬,০০০ নাগরিক রয়েছে। তবে যত আফগান নাগরিক দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন তাদের সবাইকে নিতে পারে নি আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো। ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি সবাইকে নেয়ার কিন্তু সম্ভব হয় নি। এমনকি আরো দশদিন থাকলেও সবাইকে নেয়া সম্ভব হতো না। তখনো এমন হতাশা থাকতো।”
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র এবং মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলার অজুহাত তুলে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় আমেরিকা এবং আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্ব কায়েম হয়। শুরু হয় আফগান জনগণের নতুন করে অনিশ্চয়তার পথ চলা।