আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, আর কোনো দেশ যেন কোনোদিন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোর চিন্তাও না করে। দেশটিতে ইঙ্গো-মার্কিন আগ্রাসনের ২০তম বার্ষিকীতে তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী ও তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে এক বিবৃতি প্রকাশ করেন যাতে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় একটি সুস্পষ্ট বার্তা ছিল। যারাই আমাদের দেশে হামলা করেছে তারাই চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। কাজেই এ ধরনের আগ্রাসনের কথা যেন আর কেউ চিন্তাও না করে।”
তিনি আফগান জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যেন কাবুলে সাহায্য পাঠানোর বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে। মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তান আজ যে ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে তা ‘বিদেশি দখলদারিত্বের ফসল’; কাজেই এদেশের পুনর্গঠনের দায় আন্তর্জাতিক সমাজকে নিতে হবে।
২০ বছর আগে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর মার্কিন যুদ্ধবিমান থেকে আফগানিস্তানে প্রথম বোমা নিক্ষেপ করা হয়।ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ওই আগ্রাসন ছিল আমেরিকার প্রথম প্রতিক্রিয়া। মার্কিন সরকার টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে এবং তৎকালীন তালেবান সরকার বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার কারণে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানো হয়।
২০০১ সালের ওই আগ্রাসনে অল্প সময়ের ব্যবধানে তালেবান সরকারের পতন ঘটলেও ২০ বছরের যুদ্ধ, অসংখ্য আদম সন্তানের রক্তপাত ও ধ্বংসলীলা শেষে গত আগস্ট মাসে আমেরিকা আবার সেই তালেবানের হাতে ক্ষমতা ত্যাগ করে অপমানজনকভাবে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়।
পার্সটুডে