কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদিন টুইটারে বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় ইসলামি আমিরাত তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন সেনারা ওই ‘আত্মঘাতী’ হামলার স্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বলে টুইটারে জানিয়েছেন তিনি।
#غبرګون:
اسلامي امارت د کابل په هوايي ډګر کې په ملکي خلکو چاودنه په کلکه غندي، یاده چاودنه په هغه سیمه کې ترسره شوې چې د امنيت مسئولیت يې د امريکايي ځواکونو په لاس کې دی.
اسلامي امارت د خپلو خلکو امنيت او ساتنې ته کلک متوجه دی، د شر غوښتونکو کړيو مخه به په کلکه سره ونيول شي.— Zabihullah (..ذبـــــیح الله م ) (@Zabehulah_M33) August 26, 2021
কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় শিশু ও বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। এই বিস্ফোরণে তালেবানের কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি টুইটারে জানিয়েছেন। ওই গেটসহ কাবুল বিমানবন্দরের তিনটি গেটে হামলা চালানো হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। অ্যাবি গেটে অবস্থান নিয়েই মার্কিন এবং ব্রিটিশ সৈন্যরা হাজার হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
সেখানে অন্তত দুইটি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বিস্ফোরণে কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিবিসি সংবাদদাতা জনাথান বিইল জানিয়েছেন, প্রথম হামলার পর দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তখন তাকে কাবুল বিমানবন্দরের এই হামলা সম্পর্কে খবর দেওয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভয়াবহ’ হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হ্যাপির আশঙ্কা প্রকাশের পরই এ হামলার খবর সামনে এলো।