On US destroyers
Advertisements

ইয়েমেনভিত্তিক হাউছি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে একটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার এবং ইসরাইলগামী জাহাজে হামলার দাবি করেছে। আনাদুলু অ্যাজেন্সি এ খবর প্রকাশ করেছে।

হাউছি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, তাদের নৌ ক্ষেপণাস্ত্র লোহিত সাগরে মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার ‌’ম্যাসনকে’ টার্গেট করে এবং তাতে সরাসরি আঘাত করে।

তিনি আরো বলেন, জাহাজ চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে আরেকটি জাহাজের ওপর হামলা চালানো হয়।

হাউছিদের দাবির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য পশ্চিম ইয়েমেনে হাউছিদের পরিচালিত আল-হুদাদা বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালানোর এক দিন পর বুধবার এই আক্রমণ হয়।

হাউছিরা গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগর, ইডেন উপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন দিয়ে ইসরাইলের মালিকানাধীন, পতাকাবাহী, পরিচালিত বা ইসরাইলি বন্দরগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজার ওপর হামলা চালাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হাউছিদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চলানোর পর গ্রুপটি আমেরিকান ও ব্রিটিশ জাহাজগুলোকেও টার্গেট করছে।

ইসরাইলকে রাফায় চালানো সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার ইসরাইলকে গাজার রাফাতে চালানো তাদের সামরিক অভিযান ‘অবিলম্বে’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি করতে ব্যর্থ হলে, এ ব্লকের সাথে দেশটির সম্পর্ক নষ্ট হবে।

ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নামে জারি করা বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরাইল রাফাতে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখলে, তা অনিবার্যভাবে ইসরাইলের সাথে ইইউ’র সম্পর্কের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরাইলকে রাফাতে তাদের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘এটি গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণকে আরও ব্যাহত করছে এবং সেখানের লোকজন দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’

ফিলিস্তিনের প্রধান সাহায্য দাতা এবং ইসরাইলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ইসরাইল রাফাহ ও এর আশেপাশের ১০ লাখেরও বেশি লোকজনকে অন্য অঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে- যা নিরাপদ বলে বিবেচিত হতে পারে না- বলে জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইইউ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিলেও দেশটিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে তা করতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর এবং এএফপি

Advertisements