করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ শিতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলাসহ সব যানবাহন চলাচল করবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। তবে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখা থেকে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছে, হোটেল,রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকান খুলে দেওয়া হবে। তবে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতা সেবাগ্রহণ করতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২৩ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।’
প্রসঙ্গত করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে লকডাউন আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিষয়টি শনিবার জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ফরহাদ হোসেন শনিবার বলেছিলেন, বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা- এ রকম কিছুই বলা যাবে না। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। এখন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, আমরা অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ চালিয়ে আসছি। সব কিছু চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মার্চের শেষ দিকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে আরও তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে সময়ে বিধিনিষেধের শর্তেও নানান পরিবর্তন আনা হয়।
সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে।