নেত্রকোনায় বজ্রপাতে মারা গেলেন ৮ জন
Advertisements

নেত্রকোনার চার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে মারা গেলেন ৮ জন ও আহত হয়েছেন ৯জন।

মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির সময় কেন্দুয়া,খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে খালিয়াজুরিতে তিনজন, কেন্দুয়ায় দুজন, মদনে দুজন ও পূর্বধলায় একজন মারা যান। এছাড়া খালিয়াজুরিতে পাঁচজন ও মদন উপজেলায় চারজন আহত হয়েছেন।

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক ওয়াসেক মিয়া (৩২), একই গ্রামের আমির মিয়ার ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনিরুল হক (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তারা সকলেই বরবরিয়া হাওরে ধার কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় পাঁচজন আহত হন। আহতদের খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো: বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুণ্ডলী গ্রামের মো: ফজলুর রহমান (৫৫) মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বৃষ্টিপাত চলাকালে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।

মদন থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৃষ্টিপাত চলাকালে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের পেছনে পতিত জমিতে কিশোররা ফুটবল খেলতে গেলে বজ্রপাতে ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (২১) মারা যান। এ সময় পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন (১৫), রুমান (১৮) ও তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা (৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হন। আহতদেরকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পূর্বধলা থানার ওসি মো: শিবিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বৃষ্টিপাত চলাকালে পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পালগী গ্রামে বজ্রপাতে ইছাক ফকিরের ছেলে স্কুলছাত্র জুনায়েদ (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো: আবদুর রহমান জানান, বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নগদ ১০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

Advertisements