মিথেন গ্যাসের উৎস মাতুয়াইলের ময়লার ভাগাড়
Advertisements

রাজধানীর মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল থেকেই ঘণ্টায় ৪ টন মিথেন গ্যাস ছাড়াচ্ছে। সম্প্রতি জিএইচজিস্যাট ইনক-এর বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ নিউজ।

প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, ১৭ এপ্রিল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানীর কোনো একটি এলাকায় মিথেন গ্যাসের একটা বিশাল নিঃসরণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে মিথেন গ্যাসের অন্যতম প্রধান কন্ট্রিবিউটর বানিয়ে দিয়েছে।

মন্ট্রিল-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের হুগো স্যাটেলাইটে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল থেকে বিপুল পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হচ্ছে। তাদের ধারণা, এর পরিমাণ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইন।

এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া ব্লুমবার্গকে জানান, ১৮১ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার টন বর্জ্য ফেলা হয়। তরল বর্জ্য ও গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবস্থাপনায় এটি জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থ সাহায্য পেয়েছে। তবে সেখানে ঠিক কী পরিমাণ মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

চলতি বছর বিশ্বের মধ্যে মিথেন নিঃসরণের অন্যতম হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ। প্যারিস-ভিত্তিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কায়রস এসএস চলতি মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছিল, বিশ্বের শীর্ষ ১২টি মিথেন নিঃসরণের হার শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশের আকাশে।

মিথেন গ্যাসসের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে, আমাদের মতো সমুদ্রতীরবর্তী দেশের জন্য যা অনিবার্য অভিশাপ। ক্লাইমেট চেঞ্জের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মাধ্যমে এভাবেই আমাদের সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে।

Advertisements