জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অপহৃত এক ছাত্রকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গাজীপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ)পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা তাকে উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণে জড়িত ছয় যুবককে গ্রেফতার করে।
অপরহণের শিকার জবি শিক্ষার্থীর নাম জীবন মন্ডল (২০)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার ভগবান নগরের সব্দুল মন্ডলের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর থানার উত্তর পানিশাইল পাহাড়িটেক এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মহিন (১৯), বি.বাড়ীয়ার কসবা থানার কামালপুর এলাকার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন নাঈম (২০), একই থানার চৌমুহনী এলাকার জামাল ভুইয়ার ছেলে শুভ (২৫), নরসিংদীর মনোহরদী থানার চর তারাকান্দি এলাকার সফুর উদ্দিনের ছেলে করিম মিয়া (২১), বি.বাড়ীয়ার নবীনগর থানার শিবপুর এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে রাসেল (২০) ও গাজীপুর নিটি কর্পোরেশনের সদর থানার নলজানী এলাকার আয়নাল হোসেনের ছেলে মামুন (২২)।
পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, ঝিনাইদহ জেলার শৈলক’পা থানার ভগবান নগর এলাকার সব্দুল মন্ডলের ছেলে জীবন মন্ডল (২০) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঢাকায় বিমান বাহিনীর চাকুরির ‘ইন্টারভিউ’ দিতে এসে সে আশুলিয়া এলাকায় তিনি এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেন। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাক্ষাতের জন্য তাকে গাজীপুরের জিরানী এলাকার ফুটওভার ব্রীজের নীচে ডেকে নেয় অপহরণকারী চক্রের সদস্য শুভ।
এসময় সেখান থেকে অপহরণকারীরা জীবন মন্ডলকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে ও মারধর করে। পরে অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ বাবদ এক লাখ টাকা দাবী করে জীবন মন্ডলকে হত্যার হুমকি দেয়। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সব্দুল মন্ডল অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা দেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে বুধবার রাতে পিবিআই-এর সদস্যরা গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিণ পানিসাইল এলাকারা হাজী নজরুল ইসলাম বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া শুভ ও করিম মিয়ার কক্ষ থেকে রশি দিয়ে হাত-পা এবং গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃত জীবন মন্ডলকে উদ্ধার করে পুলিশ। আহত জীবন মন্ডলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী চক্রের সদস্য ওই ৬ যুবককে বৃহষ্পতিবার গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহিন ও আফজাল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন অপহৃতের বাবা। গ্রেফতারকৃতরা অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য।