গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন কমতে শুরু করেছে
Advertisements

গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধ চতুর্থ মাসে প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের অর্থনৈতিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিয়ুৎ অহরোনুৎ এক প্রতিবেদনে এই সত্য স্বীকার করে বলেছে: এতো বিশাল ব্যয়ের পরও ইসরাইল গাজা যুদ্ধে তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারে নি।

চলমান গাজা যুদ্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদীদের নৃশংস অপরাধ তীব্রতর হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের প্রায় সকল দেশে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ ব্যাপক বেড়েছে।

অপরদিকে ইসরাইলি পণ্য বর্জন করার আন্দোলনও তীব্রতর হয়েছে। ইসরাইলের সহযোগী সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যারা সমর্থন করে সেইসব কোম্পানির পণ্যও বর্জন করার হিড়িক পড়ে গেছে।

ইসরাইলি অবৈধ সরকারের বিরোধী দলীয় প্রধান ইয়ায়ির লাপিদ সম্প্রতি বর্তমান যুদ্ধ মন্ত্রিসভার মধ্যকার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দ্বন্দ্বপূর্ণ মন্ত্রিসভা ইসরাইলি স্বার্থের অনুকূলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। অবৈধ সরকারের ক্যাবিনেট বৈঠকে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী বিন গাভির এবং ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি এবং বর্তমান যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজের মধ্যে প্রচণ্ড রকমের বাকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটেছে।

ওই ঘটনা তুলে ধরে ইসরাইলি পত্রিকাটির দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে: ব্যয়বহুল গাজা যুদ্ধে ইসরাইল এখনও কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারে নি। তিন মাস পরের যুদ্ধচিত্র তুলে ধরেছে অহরোনুৎ আরও লিখেছে: গাজায় স্থল অভিযান অক্টোবর মাসের শেষ দিকে শুরু হয়েছে। আজও সেখানে ইসরাইলের কোনো লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। না সেখানে হামাসের সামরিক শক্তি খর্ব করতে পেরেছে, না পেরেছে ইসরাইলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে। হামাসের পদস্থ নেতাদেরও হত্যা করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। কিন্তু মোহাম্মাদ দায়িফ, মারওয়ান ঈসা, মুহাম্মাদ এবং ইয়াহিয়া সানওয়ারের মতো হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এখনও জীবিত। এমনকি তারা ইসরাইল বিরোধী যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

ইয়েদিয়ুৎ অহরোনুৎ স্বীকার করেছে যে পশ্চিমাদের সহায়তায় গাজায় নির্বিচার গণহত্যা শুরু করেছে ইসরাইল। তবে যুদ্ধে ব্যর্থতার কারণে ইসরাইলের প্রতি এখন পশ্চিমা সমর্থন কমছে।

Advertisements