আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর পরদিন বুধবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংঘর্ষের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের নিহত আলাউদ্দিন এবং এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মোজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।
সংঘর্ষের ঘটনাটিকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, অভিযান চলছে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারও অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দুঃখজনক ঘটনার বিচার কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবন অস্থিরতা বিরাজ করছিল, সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। তাই আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। তিনি কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে ধৈর্য ধারণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন। ‘জিয়াউর রহমান ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যকে অসত্য প্রলাপ আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার (মির্জা ফখরুল) এই বক্তব্যও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন। এ সময় জিয়াউর রহমানকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।