বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। মশা এতটাই বেড়েছে যে, কয়েল, স্প্রে, ইলেকট্রিক ব্যাট কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। কোনো এলাকায় মশারি টানানোর পরও কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। আবার কোথাও দিনে-দুপুরেও মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেকসই সমাধান পেতে সবার আগে ধ্বংস করতে হবে প্রজনন ক্ষেত্র। পাশাপাশি মশা মারতে পরীক্ষিত ও কার্যকর ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ তাদের।
এদিকে, চলতি বছরের শুরুতে ওয়াসার হাতে থাকা ঢাকার খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশন পেলেও এখনো আসেনি দৃশ্যমান পরিবর্তন। এক্ষেত্রে নগরকর্তৃপক্ষকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, খালগুলোকে উদ্ধার করে তাকে সরল ও জল প্রবাহের নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে মশকের আধার খাল হবেই। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ওয়াসা থেকে আমরা যে ডোবা ও খালগুলোকে পেয়েছি এগুলোর প্রত্যেকটার সংস্কার কাজ চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
দীর্ঘদিনের অবহেলায় রাজধানীজুড়ে থাকা ২৬টি খালের অর্ধেকেরও বেশি পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগারে। একই সাথে পরিণত হয়েছে মশা প্রজনন ক্ষেত্রে। এ প্রসঙ্গে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেন, বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কিউলেক্স মশার প্রজনন মৌসুম। কিউলেক্স মশার প্রজননস্থলগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে উপদ্রব কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য ডোবা, নালা বা জলাশয়গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক নিয়মে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।#