‘সরকার শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে। তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই, সুযোগও নেই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করে, গোপনে সরকার পতনের অলিগলি পথ খুঁজে আর দেশ বিদেশে গোপন বৈঠক করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি?
সেতুমন্ত্রী রোববার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
নিজস্ব বলয় তৈরি করতে মাই ম্যান দিয়ে কমিটি গঠন করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় দ্রুত কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করার নির্দেশ দেন।
চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেওয়া যাবে না বলে আবারও স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য রাজনীতিতে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
সরকার নাকি শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে, তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার সরকারের কোনও ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নেই।
নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে নানান অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দুঃশাসন এখনো মানুষকে তাড়া করে, তাই তারা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নবান্ধব সরকার, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে বলেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করছে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব দেশের মানুষের স্বস্তি দেখতে পান না, দেখতে পান অপরাধীদের ভীতসন্ত্রস্ত মুখচ্ছবি।
আওয়ামী লীগ কোন খেলা বা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বরং আওয়ামী লীগই বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপিই পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে বিশ্বাসী, তারাই ক্ষমতার জন্য অপকৌশল ও দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খেলা খেলছে।
মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কি না তা খতিয়ে দেখাও দরকার।
তিনি বলেন, অপরাধী কোনও দলের নয় কিন্তু কোনো ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করা হলে বিএনপি আবার অভিযোগ করে বলে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।