গুম-হত্যা
Advertisements

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রাজধানীর উত্তরা, আগারগাঁও এবং ঢাকা সেনানিবাসের গোপন কেন্দ্রগুলোতে জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে—এমন প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এক মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে জানান, গত ১৫ বছরে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০টি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ তারা পেয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০টি অভিযোগের তদন্ত প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো দুই মাস সময় চাওয়া হলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার আগামী ২৪ জুন দিন ধার্য করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, “এই মামলার তদন্তে আমরা চারটি গোপন ডিটেনশন সেন্টার চিহ্নিত করেছি, যেখান থেকে গুমের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিহতদের লাশ গুম বা ধ্বংস করার পদ্ধতি সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

তিনি জানান, মামলার শুরুতে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যার মধ্যে সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান গ্রেফতার রয়েছেন এবং তাকে রোববার শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, এবং সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, শত শত অভিযোগের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে, এবং খুব শিগগিরই সেই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। প্রতিটি ঘটনা পৃথকভাবে তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে।

Advertisements