
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। সেশনের সঞ্চালক ছিলেন সিএনএনের প্রখ্যাত সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অর্থনীতি, প্রশাসন ও সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা। তিনি উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে, আর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্বল অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা। পাশাপাশি, ফ্যাসিস্ট শাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
নতুন সরকারের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা এবং একটি স্থিতিশীল ও কার্যকর প্রশাসন গঠন করা, যাতে দেশ তার পূর্বের সমৃদ্ধির পথে ফিরে যেতে পারে।