
গাজীপুরে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম ও গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা সরকার আনুসহ ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, প্রথম দিনে গাজীপুর জেলা ও মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চায়, যারা যেই দলেরই হোক না কেন।
গাজীপুরের দক্ষিণখান এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় ১৮ জন আহত হন। পরদিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এর পরই শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
গতকাল রাত পর্যন্ত গাজীপুর জেলার পাঁচটি থানা থেকে ২১ জন এবং মহানগর এলাকা থেকে ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, শ্রীপুর থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু সিরাজগঞ্জে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তবে গাজীপুরে কোনো মামলা না থাকায় তাকে সিরাজগঞ্জে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারের সময় তার স্ত্রীও একই বাসায় ছিলেন, তাকেও থানায় নেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জে পাঠানো হবে। পুলিশ সুপার আরও জানান, আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং জেলার অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
গাজীপুরে এই অভিযানের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তারা মনে করছেন, দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্র রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালিয়ে যাওয়া উচিত।