জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ
Advertisements

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার নিজ বাসভবন রিডো কটেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান। তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।

ট্রুডো বলেন, “পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাব।”

জাস্টিন ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। সে সময় দলটি এক কঠিন সংকটের মধ্যে ছিল এবং কানাডার হাউস অব কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল। তার নেতৃত্বে দলটি ঘুরে দাঁড়ায় এবং ২০১৫ সালে নির্বাচনে বড় জয়ের মাধ্যমে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন।

ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় কানাডা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অভিবাসন নীতি, এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, “এটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে একজন নেতা হিসেবে দেশের ও দলের ভবিষ্যতের কথা ভাবা আমার দায়িত্ব। পরিবার ও দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমি মনে করেছি, এখন সরে যাওয়ার সঠিক সময়।”

ট্রুডোর পদত্যাগ লিবারেল পার্টির জন্য নতুন নেতা নির্বাচন এবং কানাডার রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ট্রুডোর পদত্যাগ কানাডার রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তার নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি দীর্ঘ সময় ধরে দেশ পরিচালনা করেছে। তিনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

Advertisements