Kapasia Awami League leader Mizanur Rahman arrested
Advertisements

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর শহরের শিববাড়ি মোড় এলাকা থেকে রাজধানীর উত্তরা যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতেই র‍্যাব সদস্যরা তাকে কাপাসিয়া থানায় হস্তান্তর করেন।

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং সহিংসতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একটি মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতিকালে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মাহমুদুল হাসান মাসুম মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিজানুর রহমানসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মিজানুর রহমান গাজীপুর শহর থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে সংবাদ পেয়ে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা তাকে কাপাসিয়া থানার ১১/১৮৪ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার করেন। তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি ও প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং রাতে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মিজানুর রহমানের গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তার গ্রেপ্তারকে ন্যায়বিচারের উদাহরণ হিসেবে দেখছেন এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী দাবি করেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে কাপাসিয়া থানার ১১/১৮৪ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব এবং স্থানীয় প্রশাসন তার বেআইনি কার্যক্রম এবং আর্থিক লেনদেনের উৎস নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে।

এই গ্রেপ্তার কাপাসিয়ার রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Advertisements