বিএনপি গণতন্ত্রের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র নীতি, আদর্শ ও কর্মপন্থা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। রাজনীতির মঞ্চে বিএনপির অবস্থান গণতন্ত্রের বিপরীত মেরুতে। তারা এদেশের গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি গায়ে গণতন্ত্রের আলখেল্লা জড়ালেও, ভেতরে অগণতান্ত্রিক প্রেতাত্মাকে ধারণ করে। তাই সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি সর্বদাই গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আড়াল করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু তাদের স্বরূপ আজ জাতির কাছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত। কানাডার ফেডারেল আদালত কর্তৃক বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত হয়েছে।
তিনি বলেন, লাগাতারভাবে ভুল নীতি ও ভুল কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে নিমজ্জিত। এখান থেকে উত্তরণের জন্য তাদের স্বভাবজাত পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা আরো গভীরে পড়ে যায়। বিএনপি’র রাজনীতি চরমভাবে দুর্দশাগ্রস্ত। ভুল রাজনীতির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যর্থ বিএনপির উদ্ভ্রান্ত নেতাকর্মীরা জনগণের মাঝে হতাশার বীজ বপনের অপচেষ্টা করছে। তাদের সামনে কোনো স্বপ্ন নেই। তাই বিএনপির নেতারা ইতিবাচক কোনো কিছু দেখতে পায় না। বরং নেতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগণের ক্ষতি সাধনে সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ স্মার্ট বাংলাদেশ।
সূত্র : বাসস