সাকিব আল হাসানদের দর্শক বানিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ফরচুন বরিশাল। শিরোপার শেষ লড়াইয়ে আর পা রাখা হলো না রংপুরের। রাইডার্সদের স্বপ্নভঙ্গ করে ৬ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৬ উইকেটের জয় তামিম বাহিনীর। পহেলা মার্চ ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে তারা।
বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় রংপুর রাইডার্স আর ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করে বিপদে পড়া রংপুরকে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি এনে দেন শামিম পাটোয়ারি। জবাবে ১৮.৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে তামিম বাহিনী।
মাঠে নামার আগেই টসে হেরে পিছিয়ে পড়ে রংপুর, আর মাঠে নামার পর শুরুতেই তাদের থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সাইফুদ্দীন। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই পেসার৷ জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি।
প্রথম বলেই শেখ মেহেদীকে মুশফিকের ক্যাচ বানান সাইফ, ৫ বলে ২ করেন তিনি৷ শেষ বলে সাকিবও অনুসরণ করেন একই পথ। উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন ৪ বলে ১ করে। রংপুর শিবির যেন চুপসে যায় এক নিমিষে। ১০ রানে ২ উইকেট হারায় তারা।
রনি তালুকদারকে ফেরান মায়ার্স। পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ৮ রানে ফেরেন রনি। দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন জিমি নিশাম। নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ধরার চেষ্টা করেন হাল। তবে পেরে উঠেননি। মিরাজের বলে পুরান ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের জুটি। ১২ বলে ৩ করেন এই ক্যারিবীয়।
এরপর শুরু হয় জেমস ফুলারের আঘাত। ৯.১ ওভারে দারুণ ছন্দে থাকা জিমি নিশামকে ফেরান তিনি। তার ব্যাটে আসে ২২ বলে ২৮ রান। আর ১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত আনেন তিনি, এবার নাবিকে (১২) ও নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান ১৪ রানে। তাতে ভেঙে যায় রংপুরের ইনিংসের মেরুদণ্ড, ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকেই শুরু হয় শামিম ঝড়। ওবেদ ম্যাকয়ের এক ওভারেই নেন ৩ ছক্কায় ২৬ রান! ২০ বলে পূরণ করেন ফিফটি। যা ছুঁয়েছেন সতীর্থ সাকিবের সাথে যৌথভাবে আসরের সবচেয়ে কম বলে৷ শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আবু হায়দার রনির সাথে যোগ করেন ৩৩ বলে ৭২ রান।
রনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১২ রানে। ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে থামে রংপুর। বরিশালের হয়ে সাইফুদ্দিন ২ ও ফুলার নেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ফেরান আবু হায়দার রনি। ৮ বলে ১০ করে ফেরেন তিনি। একই ওভারে মেহেদী মিরাজকেও (৮) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন রনি। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরা স্বপ্ন দেখে রংপুর।
তবে বিপদ বাড়তে দেননি মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। সৌম্য ১৮ বলে ২২ রানে ফিরলেও দলের সংগ্রহ পৌঁছায় তখন ১০ ওভারে ৩৯ রান। কাইল মায়ার্স পাঁচে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী, ১৪ বল খেলেই যোগ করেন ২৮ রান। ফারুকী এসে থামান মায়ার্স ঝড়, ১৪.৩ ওভারে দলীয় ১১৯ রানে ফেরেন মায়ার্স।
তবে দলের জয় নিশ্চিত করেই ফেরেন মুশফিক। ডেভিড মিলারকে নিয়ে দলকে তুলে দেন ফাইনালে। মুশফিক ৩৮ বলে ৪৭ ও মিলার অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২২ রানে।