গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা তিন দিন অনশনের পর প্রেমিক ফিরে এসে সোমবার রাতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন আসাদ ও সুমা আক্তার নামে প্রেমিক যুগল।
গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়া ডাক্তারের বাড়িতে কাশেরা গ্রামের সিরাজউদ্দিন বেপারীর জর্ডান প্রবাসী কন্যা সুমা অনশনে বসলে প্রেমিক ডুমদিয়া গ্রামের মৃত ডা. জালাল উদ্দিনের পুত্র আসাদ (২৬) বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন।
জানা যায়, প্রতিবেশী কিতাব আলীর পুত্র মোশাররফের সঙ্গে সুমা আক্তারের ৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই তার স্বামী মোশাররফের মৃত্যু হয়। স্বামী মৃত্যুর বছরখানেক পর সুমা গার্মেন্টস ভিসায় জর্ডানে পাড়ি দেন। ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল দুই মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। হঠাৎ তার দাদি অসুস্থ হলে ওষুধ কিনতে ডুমদিয়া বাজারে গেলে দোকানি আসাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে উভয়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই যুবক আসাদ। আরও দু-এক বছর বিদেশ করে দেশে ফিরে আসলে বিয়ে করবে এমন আশ্বাসে ছুটি শেষ করে ওই তরুণী জর্ডানে চলে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর দেশে এসে আসাদকে বিয়ে করার কথা বললে টালবাহানা শুরু করে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে প্রেমিক আসাদের বাড়িতে অনশন শুরু করে প্রেমিকা সুমা।
এ ব্যাপারে সুমা আক্তার জানান, সোমবার রাত ৯টায় দুই লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে আমার এবং আসাদের পরিবারের সম্মতিতে বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহবুব জানান, ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে দুই লাখ টাকা দেনমোহরের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।