গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর দুবার ইসরাইলের বিমান হামলায় হতাহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর। এ তালিকায় নিহত ১৯৫, নিখোঁজ রয়েছেন ১২০ জন এবং আহত ৭৭৭ জন।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত মঙ্গলবার ও বুধবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, এই ‘অনুপাতহীন আক্রমণ’ যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য।
এদিকে, ক্যানসার চিকিৎসার জন্য গাজার একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটি জ্বালানির অভাবে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে। তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি ছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালগুলো এখন তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি।
অন্যদিকে, রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পর কমপক্ষে ৮১ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীকে গাজা থেকে মিসরে স্থানান্তরের কাজকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সময় আরও ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী লোক সীমান্ত অতিক্রম করেছেন।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে আট হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এর আগে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথবারের মতো গাজায় যুদ্ধে ‘মানবিক বিরতি’র আহ্বান জানিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহ থেকে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানালেও ‘অস্ত্র বিরতির’ প্রসঙ্গে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। ইসরাইলি সেনারা গত কয়েকদিন ধরে গাজার আরও ভেতরে অগ্রসর হচ্ছে। আর এতে হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরের আগ পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে ফায়রুজ টাওয়ারের কাছে বোমা বর্ষণের খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা শেহাব। এর আগে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিনিয়ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে গাজার জরুরি সেবাদান কার্যক্রম মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।