পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর গত সপ্তাহে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ সোলিহ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ সোলিহকে হারিয়ে দেন ঘোষিত ‘চীনপন্থী’ মোহামেদ মুইজু।
আর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েই নাম না করে ভারতকে টার্গেট করে এই নেতা মঙ্গলবার বলেন, ‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশী সৈন্যকে আমারা ফেরত পাঠাব।’ এ ক্ষেত্রে মুইজু নাম না করলেও স্পষ্টভাবেই ভারতকে টার্গেট করেছেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী
পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর গত সপ্তাহে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ সোলিহ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। শনিবার গভীর রাতে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট বৈধ ভোটের ৫৪.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুইজু। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে নির্বাচনে হার মানতে হয়েছে সোলিহকে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজর ছিল ভারতেরও। কারণ সোলিহর ‘দিল্লিঘেঁষা’ নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন মুইজু।
মালদ্বীপের বিরোধী দলগুলো সম্মলিতভাবে সমর্থন ঘোষিত ‘চীপন্থী’ ওই নেতাকে সমর্থন জানিয়েছিল। উল্লেখ্য, মালাবার উপকূলের অদূরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারতের কাছে কূটনৈতিক এবং রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এবার সেখানে প্রভাব বাড়তে পারে চীনের। যা নিশ্চিতভাবেই নয়াদিল্লির কাছে অস্বস্তির কারণ হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের শাসনক্ষমতায় ছিলেন চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন। তার সময় চীনা ঋণ নিয়ে দেশে একাধিক পরিকাঠামোগত নির্মাণ করেন তিনি। ইয়ামিনের ভাবশিষ্য বলে পরিচিত মুইজু এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ইয়ামিনকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন সোলিহ। ইয়ামিনের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসনের অভিযোগ উঠলেও তার পরাজয়ের নেপথ্যে ভারতের হাত ছিল বলে মনে করেন সে দেশের রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। যদিও নয়াদিল্লি তা মানেনি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে বিদেশী ভাড়াটে যোদ্ধাদের সাহায্যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গায়ুমের সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা হয়েছিল। ও সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা