সম্ভাব্য সশস্ত্র বিদ্রোহ কিংবা বহিরাগত আগ্রসনের হুমকির বিরুদ্ধে একে অপরকে সহায়তা করার জন্য আফ্রিকার তিন দেশ মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করেছে।
‘অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস’ নামে পরিচিত এই সনদে শনিবার সইকারী দেশগুলো তাদের ওপর যেকোনো ধরনের হামলার বিরুদ্ধে একে অপরকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
মালির সামরিক নেতা আসিমি গোইতা শনিবার এক্স সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘আমি অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে লিপটাকো-গুইরমা সনদে সই করেছি। আমাদের লক্ষ্য সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও পারস্পরিক সহযোগিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।’
সাম্প্রতিক সময়ে মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের সীমান্ত বিন্দু লিপটাকো-গুইরমায় ব্যাপক সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে।
তিনটি দেশই ফরাসি-সমর্থিত জি৫ সাহেল অ্যালায়েন্সের সদস্য। শাদ ও মৌরিতানিয়াকে নিয়ে ২০১৭ সালে এই পাঁচ দেশ আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটকে মোকাবেলার জন্য ওই জোট গঠন করেছিল।
তবে এই জোটে একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি সাহেলভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশ্চাত্যকে সহযোগিতা করছিলেন।
এদিক পশ্চিম আফ্রিকান আঞ্চলিক ব্লক ইসিওডব্লিউএএস অভ্যুত্থানের পর নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছিল।
এর পরপরই মালি ও বুরকিনা ফাসো দ্রুত জবাব দেয় যে এ ধরনের কোনো হস্তক্ষেপ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলে বিবেচিত হবে।
ওই অভ্যুত্থানের পর থেকে ফ্রান্সের সাথে দেশ তিনটির সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়েছে।
ফ্রান্স ইতোমধ্যেই মালি ও বারকিনা ফাসো থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। আর নাইজারে অভ্যুত্থানকারীদের সাথে সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মালি তার দেশ থেকে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করতে বলেছে।
সূত্র : আল জাজিরা