২০২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেয়ার ষড়যন্ত্রের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ফৌজদারি অপরাধ বা ক্রিমিনাল চার্জে তার বিরুদ্ধে চার দফা অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকাকে প্রতারণার ষড়যন্ত্রে ফেলা, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যকে কারসাজি করা এবং নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
মামলার এ রায়ের মধ্যদিয়ে ওই নির্বাচনের পর ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি সংঘটিত দাঙ্গা তদন্তের অবসান ঘটলো। তবে, ট্রাম্প কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা এ মামলাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি উদ্ভট বলে মন্তব্য করেছেন।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প আবার আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনী মাঠে এরইমধ্যে নেমে পড়েছেন। তবে, এর আগে তিনি আরো দুটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। সেগুলো হলো- হোয়াইট হাউজ থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল নিজের বাড়িতে রাখা এবং একজন পর্নো তারকার মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ঘুষ দেয়া।
২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে এখনও মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্প। কোনো প্রমাণ ছাড়া তিনি দাবি করে আসছেন- ওই নির্বাচন ছিল জালিয়াতির। নির্বাচনের দুই মাসের মধ্যে ক্যাপিটল হিলে যখন ৬ই জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল, তখন ওয়াশিংটন ডিসিতে সমর্থকদের উসকে দেন ট্রাম্প। তারা ঝড়ো গতিতে ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ওই দিনের দাঙ্গায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হন।