গাজীপুরের শ্রীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৪ মামলার আসামি আতিকুল ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ মে ২০২৩) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল শ্রীপুরে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে পোলট্রি ফার্মে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আহত যুবককে তার স্বজনেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আবারও বাঁধা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
গত রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত পোল্ট্রি ব্যবসায়ী যুবকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (২৭)। তিনি উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ঢালী (৩৮), তাঁর ভাই আতিকুল ঢালী (৩০), এমদাদুল ঢালী (৪৫) ও রমিজ উদ্দিন ঢালীর (৫৫) নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত যুবকের মা মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘ওরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে, মাথায় অনেক আঘাত করেছে। পরে খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রওনা হলে পূণরায় বাঁধা প্রদান করে। পরবর্তীতে আমি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঢালী বাহিনীর অত্যাচারে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, এদের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না এই এলাকার জনসাধারণও।
ঢালী বাহিনীর মদত দাতা আশরাফুল ঢালী ইউপি সদস্য হওয়ার কারণে, এর ভাইয়েরা এলাকার মধ্যে যত ধরনের অপকর্ম আছে সকল অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে জমি দখল এবং বনের জমি থেকে মাটি কাটা এদের প্রধান ব্যবসা। অত্যাচারের কারণে ভয়ে এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেও সাহস করছে না।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢালী পরিবারের বিরুদ্ধে বনের জমি দখল, মাদক ব্যবসা, বনের জমি থেকে মাটি বিক্রি সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন এদের দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। থানায় একাধিক মামলা থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এসব সন্ত্রাসীরা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, আতিকুল ঢালী একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। সাম্প্রতিক সময়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার হলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।