একটি আফগান প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক ইরান সফরে দু’দেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হিরমান্দ নদীর পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাবুল। আফগানিস্তানের জ্বালানি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি তেহরান সফর করেছে।
১৯৭২ সালে আফগানিস্তান ও ইরানের তৎকালীন সরকার হিরমান্দ নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সই করেছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান প্রতি সেকেণ্ডে ২৬ ঘনমিটার এবং প্রতি বছর ৮২ কোটি ঘনমিটার পানি পাবে বলে কথা ছিল। তবে বিভিন্ন ঋতুতে পানিপ্রবাহে তারতম্য থাকার কথাও চুক্তিতে উল্লেখ ছিল।২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে তালেবান সরকার ওই চুক্তি মেনে চলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।
আফগান জ্বালানি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গতকাল (সোমবার) বলেছে, দেশটির পানিসম্পদ উপমন্ত্রী মুজিবুর রহমান আখুন্দজাদে’র নেতৃত্বে একটি আফগান প্রতিনিধিদল গত ১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত তেহরান সফর করে। এ সফরে ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।তবে এই আলোচনা অনুযায়ী কোন দেশ কতটুকু পানি পাবে তার বিস্তারিত বিবরণ জানানো হয়নি।
এর আগে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, হিরমান্দ নদীর পানি প্রবাহ পাঁচ দশক আগের তুলনায় মারাত্মক কমে গেছে। তিনি ওই চুক্তি বাস্তবায়নে তালেবান সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, হিরমান্দ নদীতে যথেষ্ট পানিপ্রবাহ থাকলে ইরান তার অংশ পাবে।
এছাড়া, তালেবান সরকারের উপ মুখপাত্র এনামুল্লাহ সামানগানিও বলেছেন, ইরানের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের ব্যাপারে যেসব চুক্তি আছে তালেবান সরকার সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।