শ্রীপুরে সাইনবোর্ড সাটিয়ে যুবলীগনেতার জমি দখলচেষ্টা
Advertisements

২০১৭ সালে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন যুবলীগনেতা মো. শারফুল। দীর্ঘ পাঁচবছর পর ওই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। পাশ্ববর্তী জমির মালিকগণ জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে আদালতে ১৪৫ ধারা জারি করে। এরপর নোটিশের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন শ্রীপুর থানা পুলিশ। নিষেধাজ্ঞার পর ওই জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। সম্প্রতি ওই জমি রাতের আঁধারে দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সাইনবোর্ডে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বায়নাসূত্রে ওই জমির মালিক দাবি করা করা হয়। তবে প্রথমজন বলছেন ওই জমির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

নোটিশ প্রদানকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই অহিদ শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শ্রীপুর উপজেলার ধামলই মৌজার এসএ দাগ নম্বর ২৬০৯ এর আরএস ১১৮৪২ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৮৬ শতাংশ। ওই দাগে ক্রয় ও দখলসূত্রে বাউন্ডারি করা ১২ শতাংশ জমির মালিক যুবলীগনেতা শারফুল।

এ বিষয়ে যুবলীগনেতা মো. শারফুল বলেন, ওই জমি ক্রয় করেছি ২০১৭ সালে। এর আগের মালিক ২০১০ সালে ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন। ক্রয়ের পাঁচবছর পর নির্মাণ কাজ শুরু করলে অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে রাতের আঁধারে ওই জমিতে বাউন্ডারি করার চেষ্টা চালায়। এর আগেও ২০১০ সালে নির্মিত বাউন্ডারি ভেঙে ফেলে অভিযুক্তরা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র শ্রীপুর মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করি। যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। কিন্তু গতরাতে (৭ এপ্রিল) তারা জমিটি কাটাতারের বেড়া দিয়ে দখলচেষ্টা চালান। পরে আজ সকালে (৮ এপ্রিল) জমিতে গিয়ে কারা বেড়া দিয়েছেন, জানতে চাইলে কেউ স্বীকার করেনি। তবে সাইনবোর্ডে উল্লেখিত আতিক মন্ডলকে জিগ্যেস করলে সে বলে, মালিকপক্ষ আমার নাম দিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বাউন্ডারি ভাঙাকে কেন্দ্র করে মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয় তারা হলেন, উপজেলার যোগীরসিট গ্রামের নোমান গাজীর সন্তান সুমন গাজী (২৫) ও সোহাগ গাজী (৩২) একই গ্রামের আমানুল্লাহর সন্তান বোরহান উদ্দিন মাস্টার (৩৭) ও আবদার গ্রামের ছমির উদ্দিনের সন্তান নাজমুল মাস্টার ওরফে চান মিয়া (৩২)।

সাইনবোর্ডে যাদের নাম লেখা রয়েছে তাদের মধ্যে আতিক মন্ডল প্রথম। তিনি বলছেন, ওই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. অহিদ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। শুনেছি ওই জমি দখলের জন্য কাটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আমি গিয়ে সেই বেড়া পাইনি। কারা বেড়া দিয়েছিল এ বিষয়ে কেউ কিছুই বলেনি। তবে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ছিল।

Advertisements