জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মানুষের সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়। হাজার ধন-সম্পদ বানালেও সেটি হয় না, সেটি আসে না। তাই সেভাবেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিচ্ছে, কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক-২০২২ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে অনেক মানুষ পড়ে আছে, যারা মানুষের সেবা করে নিজের উদ্যোগে। সেই ধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরও পুরস্কৃত করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন, হয়তোবা তারা প্রচারে আসে না, দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকে। তাদের বের করে পুরস্কৃত করা উচিত। তাদের দেখে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও অন্যরাও শিখবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কার একবার দিতে পারিনি। কিন্তু বারবার তো আমি নিজেকে বঞ্চিত করতে পারি না। স্বাধীনতা পুরস্কার নিজ হাতে তুলে দেওয়া, আমার জন্য সম্মানের। তাই বহুদিন পর এই অফিসে আসার সুযোগ পেলাম।
এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস ও মরহুম সিরাজুল হক।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম এবং স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে মনোনীত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে তালিকা থেকে সাহিত্যে মনোনীত মো. আমির হামজাকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে সাহিত্য ক্যাটাগরিতে কেউ এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন না।