বাংলাদেশে মোদির সফরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব
Advertisements

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। কেউ কেউ বিরোধিতা করছেন। আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে নানা মতের লোক রয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।
সফরের প্রথম দিন (২৬ মার্চ) নরেন্দ্র মোদি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন (২৭ মার্চ) সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এদিন তিনি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি হিন্দু মন্দির পরিদর্শন, প্রার্থনা ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করবেন।

এ সময় বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আভিযোগ করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এটা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ (২০ মার্চ) শনিবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধান মিত্র দেশ ভারত। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বিশেষকে নয়। এখন স্পষ্ট যে কারা নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা মোদির সফর প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি কাফন নিয়ে শাপলা চত্বরে ২০১৩ এর ঘটনার পুনরাবৃত্তির হুমকি দিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিকতায় কোনও বিশৃঙ্খলা বা অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, কিন্তু রাজপথ ছাড়েনি। সুতরাং আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে যারাই দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।’ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা।

পার্সটুডে

Advertisements