গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রেম করে বিয়ের ২২ ঘন্টায় মাথায় নাদিয়া (১৮) নামে এক তরুণী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে প্রেমিক সবুজ মিয়াকে বিয়ে করে নাদিয়া।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সে বিষপান করে। সবুজের দাবি, বিয়ের পরই নাদিয়ার বড় বোন মরিয়ম তাকে তালাকের জন্য বলেন। বোনের কাছ থেকে এমন চাপ সইতে না পেরে নাদিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
নাদিয়া কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের মেয়ে। তাজউদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সে। সবুজ মিয়া নরসিংদী সদরের হাজীপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। কয়েক বছর ধরে কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে পিকআপ ভ্যানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
সবুজ জানান, পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকার সুবাদে এক বছর ধরে নাদিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তারা ভালোবেসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে নাদিয়ার প্রবাসী মা নিলুফা এতে সম্মতি দেন। তবে বড় বোন মরিয়ম রাজি ছিলেন না। পরে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে এবং মরিয়মের স্বামী অপুসহ দুই পরিবারের পাঁচজনের উপস্থিতিতে সোমবার রাত ৮টার দিকে কাপাসিয়া ইউনিয়ন কাজি অফিসে গিয়ে তারা বিয়ে করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে সবুজ পারিবারিক একটি কাজে ভৈরব গেলে নাদিয়া তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায়, বড় বোন মরিয়ম তাকে এ বিয়ে ভেঙে দিতে চাপ দিচ্ছেন এবং তাকে পড়ালেখা করিয়ে এর চেয়েও ভালো বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাদিয়া নিজের ঘরের দরজা আটকে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে- মোবাইল ফোনে এ খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় ফেরেন সবুজ।
এ বিষয়ে মরিয়ম বলেন, বড় বোন হিসেবে তিনি নাদিয়াকে এ বয়সে বিয়ে করতে নিষেধ করেছিলেন। তবে বিয়ে ভাঙার বিষয়ে কোনো চাপ দেননি।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হতে পারে