গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ বেইলদিয়া সড়কে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল চাপায় একটি শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে দিবাগত রাত ১.৩০ এর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে চার লাখ টাকায় রফাদফা হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার নগদ, এবং বাকি টাকার জন্য চ্যাক প্রদান করেন মিনহাজের পক্ষে।
পাঁচ বছরের শিশু জোনায়েদ তার বড় বোনকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মাথা অনেকটা থেতলে যায়।
মোটরসাইকেল চালক মিনহাজ। তিনি কাওরাইদ গ্রামের শামসুল হকের সন্তান।
নিহত জোনায়েদ গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেইলদিয়া গ্রামের মো. রুকন মিয়ার ছেলে। জোনায়েদ স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মিনহাজ বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল, পরে শিশু জোনায়েদ মোটরসাইকেলটির নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মাথার একাংশ থেতলে যায়। পরে শিশুটি হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনাটি চার লাখ টাকায় মীমাংসা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু জোনায়েদের বড় বোন লামিয়া আক্তার স্থানীয় বেইলদিয়া গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। বড় বোনকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর ও পরে তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
জোনায়েদের বাবা মো. রুকন মিয়া জানান, আমি একটি করাতকলে শ্রমিকের কাজ করি। একই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মিনহাজ আমার ছেলেকে মোটরসাইকেল চাপা দেয়। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে গত রাতে মারা গেছে। এঘটনার পর স্থানীয়রা একটি আপস মীমাংসা করার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে। পরে মীমাংসার বিষয়ে জানার পর ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত মিনহাজের বাবা মো. শামসুল হক বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করেছে। এ বিষয়ে আমার ক্ষমা চাওয়ার ভাষা নেই। স্থানীয় গণ্যমান্যরা যা মীমাংসা করে তাই মেনে নেব।’
কাওরাইদ ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. নূরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবারও ফোন করলে তিনি বন্ধ করে ফেলেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।