চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুন ইং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ান ইউক্রেন নয় বরং চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আরো বলেছেন, বিশ্বে একটিমাত্র চীন রয়েছে এবং তাইওয়ান হচ্ছে সেই চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক জোট ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাশ্চাত্যের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে রয়েছে তখন বেইজিং এ ঘোষণা দিল।
আন্তর্জাতিক সমাজ বেইজিং-এর ‘এক চীন’ নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এই নীতির ভিত্তিতে চীনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আমেরিকা বহু বছর আগে ‘এক চীন’ নীতি সংক্রান্ত দলিলে সই করেছে; কিন্তু এখনও বেইজিং-এর ওপর চাপ সৃষ্টির কাজে তাইওয়ান নামক দ্বীপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন সময় এ ঘোষণা দিল যখন তাইওয়ানের প্রশাসনিক প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ওই দ্বীপ নিয়ে চীনা সামরিক তৎপরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে একই বিপদ তাইওয়ানকেও গ্রাস করতে পারে।
তবে ইউক্রেনের সঙ্গে তাইওয়ান পরিস্থিতিকে গুলিয়ে ফেলার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুন ইং। তিনি বলেছেন, তাইওয়ান ইউক্রেন নয় বরং এটি চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি একটি অনস্বীকার্য ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলেও উল্লেখ করেন চুন ইং।তিনি বলেন, তাইওয়ান চীনের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোনো অবস্থাতেই চীনের ভৌগলিক অখণ্ডতাকে বিপদাপন্ন করা যাবে না।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট যদি পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তখন তাইওয়ানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে চীন।