ছবি: ভুক্তভোগী অভিযোগকারী মোঃ আলীম মোক্তার।
বাবা-মা মারা যাওয়ার পর মেয়েদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন বড় ভাইয়েরা। কিন্তু হালিমা খাতুনের বেলায় সম্পূর্ণ ভিন্ন, শুধু যে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেননি তা নয়, উল্টো আট বছর যাবৎ ভোগদখলে থাকা জমি থেকে সবার অগোচরে (চুরি করে) গাছ কাটার মাধ্যমে জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছেন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হালিমা খাতুনের ছেলে মোঃ আলিম মোক্তার। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি গ্রামের মৃত আইনুদ্দীন সরকারের ছেলে।
লিখিতভাবে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, মৃত আবেদ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০) ও চাঁন মিয়া (৬৭), চাঁন মিয়ার ছেলে ফাইজুদ্দিন (৪৮) ও সিদ্দিক (৪০)।
এ বিষয়ে নিজের ভাইদের বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয় হাফিজ উদ্দিন আমীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা মোট চার ভাই তিন বোন। আমার উদ্যোগে এক বোনকে তার প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দিলেও হাফিজ উদ্দিন ও চাঁন মিয়া বাকি দুই বোনকে ঠিকমতো বুঝিয়ে না দিয়ে নানা টালবাহানা করছে। আমি চাই যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যথাযথ বন্টন হোক।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মোঃ আলিম মোক্তার জানান, আমার মামাদের হিসেবমতে আমার মা জমি পাবে ৩৯ শতাংশ। আমরা আট বছর যাবৎ ভোগদখলে ছিলাম ২১ শতাংশ জমি। আমাদেরকে বাকি জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ভোগদখলকৃত ২১ শতাংশ জমি জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মায়ের নিজের হাতে প্রায় আটবছর আগে ওই ২১ শতাংশ জমিতে আকাশমণি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমাদের অগোচরে (চুরি করে) ৭টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। পরে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছে। শুধু মামলা নয়, আমাদেরকে খুন-জখমেরও হুমকি দিয়েছে। তাই নিজেরা বাঁচতে এবং জমি জবরদখল রুখতে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন ও ফাইজুদ্দিন বলেন, তারা ৩৯ শতাংশ জমি পাওনা, মোট ১২টি আরএস দাগ থেকে। যেভাবে পাওনা সেভাবেই আমরা দিতে রাজি আছি। অন্যথায় তারা বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমরা কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই জানান, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।