শ্রীপুরে ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি অফিসারের নামের নিচে বঙ্গবন্ধুর ছবি
Advertisements

শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি অফিসারের নামের নিচে বঙ্গবন্ধুর ছবি সাটানো হয়েছে। এ ছাড়াও নামজারি জমাভাগের সরকারি ফি ১১শ ৭০ টাকা হলেও ‘নামজারি’র জন্য এক আবেদনকারী ব্যক্তির কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবীর অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের মৃত ইছব আলীর সন্তান ষাটোর্ধ মহর আলী গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগের পর মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি নামজারি ও জমাভাগের আবেদন করার পর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বরমী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আবেদনের নথি (৩৬/২১-২২) পাঠানো হয়। পরে বরমী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক নাজমুল হোসেন নথির বিপরীতে আমার কাছে ১ লাখ টাকা (ঘুষ) দাবী করেন। টাকা না দিলে আবেদন বাতিল বা খারিজ হতে দিবেনা বলে জানান। প্রায় চারবছর যাবৎ অফিসে কর্মরত নাজমুল হোসেনের বাড়ি বরমী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রভাব, জোর খাটিয়ে ও পেশি শক্তি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারি জমাভাগ (খারিজ) করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন টাকা দাবী করার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে সে এখনও কিছু জানেনা এবং কোন চিঠি পায়নি বলে সাংবাদিকদের জানান। অথচ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে (২০-১০-২০২১ খ্রিষ্টাব্দে)।

এছাড়াও বরমী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মো. ইসহাক মিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তিভিত্তিকভাবে মিসকেস ও খারিজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন মোড়লের সঙ্গে। তিনি বলেন, বরমী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব কিছুদিন আগে মিসকেসের জন্য আমার কাছে ১০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। আমি পাঁচ হাজার টাকা বললে তিনি রাজি হন, এবং আমি ৫ বারে মোট চার হাজার ৩০০ টাকা দিই। প্রায় এক মাসেও এখন পর্যন্ত আমার কাজটি সম্পন্ন হয়নি।

এছাড়াও বরমী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা ফজলুল হক মোড়ল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অবমাননা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর ২০২১) বিকেল চারটায় তার নামের নিচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার লাগানো অবস্থায় দেখা যায়। ফজলুল হক এবং নায়েবকে এ বিষয়ে জিগ্যেস করলে তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইছহাক মিয়া আরও জানান, টাকা নেয়া বা অভিযোগের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। মাত্র আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল কুমার হালদার বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

Advertisements