নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ দল।
আজ সকালে নেমেই ৫০০ রান ছাড়াল বাংলাদেশ।
আলোক স্বল্পতায় ২৫ ওভার না খেলেই খেলা শেষ হয় গতকাল। তা না হলে এ দিনই ৫০০ ছাড়াতে পারত।
কোচ ডমিঙ্গোর আশা ছিল, যেহেতু হাতে ৬ উইকেট রয়েছে তো দ্রুত ৫২০ থেকে সাড়ে পাঁচশ পৌঁছে ইনিংস ঘোষণা করবে বাংলাদেশ।
সে লক্ষ্যে রান এগিয়ে নিলেও টপাটপ উইকেট পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের। গত দুই দিনে যেখানে লংকান বোলারদের সাফল্য মাত্র ৪ উইকেট, সেখানে তৃতীয় দিনে প্রথম সেশন শেষ না হতেই আরো ৩ উইকেট শিকার করেছে তার।
একে একে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। লিটন ফিফটি করলেও বাকিরা হতাশ করেছেন।
মেহেদী ৩ ও তাইজুল ২ রানে করে আউট হয়েছেন। অপরপ্রান্তের মুশফিককে হাত খুলে খেলার সুযোগ করে দেননি তারা।
খেলার এমন অবস্থায় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রানে থামল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
১৫৬ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিক।
গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এ দুজনের ২৪২ রানের জুটি ইতিহাস গড়ল। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে তৃতীয় উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটিটি এখন তাদের। এতদিন ধরে রেকর্ডটি দখলে ছিল মুশফিক ও মুমিনুলের।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক-মুমিনুল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙল শান্ত-মুমিনুল জুটি।
তবে মাত্র ৫ বল খেললেই জুটিটি বল মোকাবিলার হিসেবে প্রথম স্থানটি দখল করত। বল মোকাবিলার হিসাবে সবচেয়ে বড় জুটিটি মোহাম্মদ আশরাফুল আর মুশফিকের। ২০১৩ সালে শ্রীলংকার গলে পঞ্চম উইকেটে ৫১৮ বল খেলে ২৬৭ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
সে হিসাবে শান্ত-মুমিনুলের ২৪২ রানের জুটি তালিকায় দ্বিতীয়। পাল্লেকেলে টেস্টে ২৪২ রানের জুটিতে শান্ত ও মুমিনুল খরচ করেছেন ৫১৪ বল।
৫ বল আগেই তাদের জুটি ভেঙে দেন পেসার লাহিরু কুমারা। ১২৪তম ওভারে শান্তকে নিজের ফিরতি বলে ক্যাচে পরিণত করেন কুমারা।
শান্তর সাজঘরে ফেরার পর মুমিনুলও ফেরেন। ৩০৪ বল খেলে ১২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ধনঞ্জয়ার বলে প্রথম স্লিপে থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় দিনে এ দুটি উইকেটই প্রাপ্তি শ্রীলংকার। প্রথম দিনের প্রাপ্তি ছিল একটি। ওয়ানডে মেজাজে খেলা ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালকে নার্ভাস নাইনটিতে আউট করেছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো।