সকল মানুষের জন্য রুটিন মেনটেইন করা প্রয়োজন। রাসুল(সা:) দৈনন্দিন রুটিন মেনেই চলতেন। দিনে ২৪ঘন্টা সময় থাকে আমাদের। চায়লে একদিনে অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু তারপরও আমাদের অভিযোগ থাকে যে,কাজ করার মত যথেষ্ট সময় হয় না। সময় ব্যাবস্থাপনা না থাকাই অভিযোগের মূল কারণ। আমরা শুধু আমাদের সময় মেনেজ করতে পারি না। কিন্তু মুসলমান হিসেবে মহানবী (সা:) এর জীবনই আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরন হতে পারে। নবী (সা:) এর দৈনন্দিন রুটিন আমরা দেখতে পারি। এখানে মহানবী (সা:) এর রুটিন সম্পর্কে কিছু কথা বলা হবে, সফল জীবন গঠন করতে এইগুলা মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত।
সকাল
রাসূল (সা:) দীর্ঘ রাত তাহাজ্জুত সালাত আদায়ের পর অল্প কিছুক্ষন ঘুমিয়ে ফজরের নামাজের সময় জেগে উঠতেন। নামাজ আদায়ের পর তিনি জিকির করতেন।আমরা সবাই জানি যে ফজরের সময় ফেরেস্তারা সম্পদ বিতরনের জন্য আসে। তাই আমাদের নামাজের পরে জেগে থাকতে হবে। ফজরের পর রাসুল (সা:) মসজিদে থাকতেন এবং সাহাবিদের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেন। তিনি তার মতামত জানিয়েছেন এবং তাদের সমস্যা অনুযায়ী তাদের সমাধান দিতেন।
সূর্যোদয়ের পর
সূর্যোদয়ের পর তিনি বাড়িতে আসতেন দোয়া করতেন এবং খাবার খেতেন। যদি খাবার থাকত তাহলে খেয়ে নিতেন আর না থাকলে রোজা রাখতেন। তিনি পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পর আবার মসজিদে ফিরে যেতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তারপর তিনি মসজিদে বসতেন এবং তার চারপাশে সাহাবিরা জড়ো হত। রাসুল (সা:) এর সাথে দেখা করার জন্য মদীনার সবার কাছে এই সময়টি পরিচিত ছিল। কেউ যদি তার সাথে সময় কাটাতে চাইত এবং কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইত, তিনি কখনো কাউকে না বলেন নি।
দুপুরে
তিনি জোহর নামাজের জন্য মসজিদে যেতেন। শুক্রবার থাকলে তিনি তার সাহাবিদের সাথে পালন করতেন। তারপর সেই দিনের কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বক্তৃতা দিতেন।তারপর তিনি তার নিয়মিত কাজ করতেন।
বিকেল
তিনি সাধারনত বিকেলের খাবার খেতেন না। বিভিন্ন সুত্র হতে আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি সকাল সন্ধ্যা দুইবার খাবার খেতেন।তারপর তিনি আছর নামাজের জন্য মসজিদে যেতেন। বিকেলে নামাজের পর তার স্ত্রীদের কাছে যেতেন, তাদের অবস্থা জানতে চাইত এবং কোন কিছু প্রয়োজন কিনা জানতে চাইত।
সন্ধ্যা
তিনি মাগরিবের নামাজের জন্য সূর্যাস্তের জন্য অপেক্ষা করতেন। মাগরিবের নামাজের পর তিনি পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন এবং সেখানে রাত কাটাতেন।
রাত
নবী (সা:) রাতের নামাজে সাহাবীদের নেতৃত্ব দিতেন। নমাজের পর বিশ্রাম এবং ঘুমের জন্য তার ঘরে ফিরে যেতেন।
মধ্যরাত
আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত “তারপর একটু ঘুমানোর পর তিনি জেগে উঠতেন এবং দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর ইবাদাত করতেন”।
সুতরাং এটাই ছিল আমাদের নবী (সা:) এর দৈনন্দিন রুটিন। এভাবে যদি আমরা আমাদের প্রতিদিনের কাজ পরিচালনা করি তাহলে আল্লাহ আমাদের জীবন যথাযথভাবে পরিচালনার শক্তি দিবেন।
সূত্রঃ The Islamic Information