কাদের
Advertisements

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হঠাৎ নাশকতা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বিএনপির এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই মানবিক সংকটের ভেতরেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান, ঢাকা-১৮ আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাবিব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, প্রচারও চালাবে কিন্তু নির্বাচনের সময় এজেন্ট দেবে না। তাদের কৌশল নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। বিএনপি জানে জনগণের ভোটে তারা জিততে পারবে না। এই উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে পুরোনো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। আগে যারা আগুন সন্ত্রাস চালাত তারাই আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই ধরনের সন্ত্রাসী চরিত্র, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। নিরীহ মানুষের জীবন ও সম্পদহানির মাধ্যমে যারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা তাদের পুরোনো অভ্যাস।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং রাজনীতিতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল তাদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখনো বিএনপি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক নিয়মকানুন, বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। গতকালের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট গণনা শেষে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হলে বিএনপি নেতারা বলেন সরকার কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে জিতলে বলেন আরও বেশি ভোটে জিততাম আর হারলে বলে সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে? এই হচ্ছে তাদের অবস্থা। যেকোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না।

কুমিল্লা ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে তারা জিতল, তারপর বলল যে আরও বেশি ভোটে জিততাম যদি সরকারি দল কারচুপি না করত। সিলেটের বেলাতেও একই বক্তব্য আরও বেশি ভোটে জিততাম? তারা জিতলে বলে আরও বেশি ভোটে জিততাম আর হারলে তো সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে? এই হচ্ছে অবস্থা?
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও কারচুপি হয়েছে একটা উদাহরণ দেন? এই নির্জলা মিথ্যাচারের রাজনীতি–অপরাজনীতি কবে তারা পরিত্যাগ করবে?

Advertisements