সাংবাদিক নাদিম হত্যা
Advertisements

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানি নাদিমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার ( ১৪ জুন) রাতে এবং বৃহস্পতিবার সারাদিন বকশীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিক আটকদের নাম পরিচয় জানাতে পারেন নি।

বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। এরপর বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত নাদিমের সহকর্মীরা জানান, বুধবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পাটহাট এলাকায় সাংবাদিক নাদিমের ওপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় বুধবার রাত ১২টার দিকে তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

গোলাম রাব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এর আগেও নাদিমকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন তিনি। তার লোকজনই এ হামলা চালিয়েছেন।’

জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুলিশের পাঁচটি টিম মাঠে কাজ করছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের আটক করা হবে। এখনও থানায় মামলা দায়ের হয়নি।

ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৮৬ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অর্থাৎ চার দিনে একজন সাংবাদিক নিহত হন। অন্যদিকে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এর তথ্যানুযায়ী, ১৯৯২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হামলায় ৩৪ সাংবাদিক হন।

Advertisements