সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না তুরাগ নদের সাকাশ্বরের সেতু
Advertisements

প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী তুরাগ নদের ওপর সাকাশ্বর এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। এ সেতু নির্মাণের দুই বছর হয়ে গেলেও সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড এলাকায় সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চার কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না জনগণের। সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, তুরাগ নদের এক পাশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, অন্যপাশে কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বর এলাকা। মাঝখানে তুরাগ নদে নির্মিত হয়েছে ১৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। এরপর ২০২০ সালের ১১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সেতুটির উদ্বোধন করেন। সেতুটির পূর্ব পাশ থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা শুরু হয়েছে। সেতুটির অপর প্রান্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পড়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু দুই বছর হয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, গাজীপুরের মাস্টারবাড়ি-খালিশাবর্তা হয়ে সাকাশ্বর রাস্তার তুরাগ নদের ওপর নির্মিত সেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মন্ত্রী সামসুল হক সেতু’। খালিশাবর্তা মৌজার পুরো অংশজুড়ে ফসলি জমি। সেতু নির্মাণ হওয়ার আগে এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন ছিল নৌকা। কিন্তু সেতু হওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতেই কৃষক ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জোন-৫) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ বলেন, দুই লেনের সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য কমপক্ষে ৩০ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করতে হবে। সেখানে মাটিও ফেলতে হবে ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু করে। এতো উঁচুতে মাটি ফেলার জন্য নিচ থেকে ৯০ ফুট প্রস্থ করে মাটি ফেলতে হবে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা অধিগ্রহণ ছাড়া জমি দেবেন না। অধিগ্রহণ ছাড়া এতো জমি নেওয়া হলে জমির মালিকদের অনেক ক্ষতি হবে।

সূত্রঃ যুগান্তর

Advertisements