ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে আ.লীগের ১১৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী
Advertisements

বাংলাদেশে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ১১৭টি ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৯৫টিতে। এছাড়া, জাতীয় পার্টি ৩টি ও জেপি ১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ষষ্ঠ ধাপের একীভূত ফলাফলের তথ্য জানিয়েছে।

এ ধাপের ইউপি ভোট ছিল কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদের শেষ নির্বাচন। এবার ইউপি ভোটের ছয় ধাপ মিলিয়ে ৩ হাজার আটশ’র বেশি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকার প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছে ২ হাজার ২৬ টিতে; স্বতন্ত্ররা জয় পেয়েছে ১ হাজার ৬৯২টিতে।

এছাড়া জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ, ইসলামী আন্দোলন, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাকের পার্টির প্রার্থীরাও জয় পেয়েছেন কিছু ইউপিতে।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল এবারের নির্বাচন বর্জন করার পর অধিকাংশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে একই দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংঘাত-সহিংসতায়ও গড়িয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝিতে ইউপি ভোট শুরুর পর ছয় ধাপের ভোটের মধ্যে প্রথম তিন ধাপে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেশি ইউনিয়নে জয় পেয়েছিল। চতুর্থ ধাপে নৌকার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় সমান সমান হয়ে যায়। পঞ্চম ধাপে এগিয়ে যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ষষ্ঠ ধাপে ২১৮টি ইউপির মধ্যে ২১৬টির ফলাফল হয়েছে, স্থগিত রয়েছে ২টিতে। ভোটের দিন কোনো ধরনের প্রাণহানি না ঘটায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইসি।

সপ্তম ও শেষ ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ১৩৮টি ইউনিয়নে।

পাঁচ বছর আগে দলীয় প্রতীকের প্রথমবারের ভোটে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছিল ২ হাজার ৬৭০ ইউপিতে। বিএনপি ৩৭২ ইউপিতে আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৮০ ইউপিতে জয় পায়।

এবারের ইউপি ভোটে ছয় ধাপে রেকর্ড সংখ্যক ৩৬২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহস্রাধিক নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে চেয়ারম্যান পদে ২১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড ছিল।

Advertisements