গাজীপুরের শ্রীপুরে ৭ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে তিন সন্তানের জনক আমিনুল ইসলাম (৪৫)। তিনি উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ট্যাংরা পশ্চিম পাড়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে মক্তবে আরবি পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল সাত বছর বয়সী ওই শিশু। ওই সময় স্থানীয় বখাটে আমিনুল শিশু শিক্ষার্থীকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। তারপর শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করতে চাইলে শিশুটি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বখাটে আমিনুলের হাত থেকে শিশুটিকে রক্ষা করে। এরপর অভিযুক্ত আমিনুলকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়।
মক্তবের শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম লুৎফর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো আজও ৮টায় মক্তব ছুটি দিই। পরে সাড়ে আটটার দিকে শিশুটির নানাকে চিৎকার চেচামেচি করতে শোনা যায়। তখন কাছে গেলে শিশুটি নিজ মুখে তাকে নির্যাতনের বর্ণনা দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির নানা বলেন, মক্তবের পড়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো সে আটটার দিকে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এ সময় পথে আমিনুল চকলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল তার হাতে ১০ টাকার একটি নোট দেয়। এরপর বাড়িতে নিয়ে আমিনুল তার ওপর পাশবিক নির্যাতন শুরু করলে সে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আমিনুলের হাতে থেকে তাকে রক্ষা করে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। অভিযুক্ত আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে নিয়ে আসা হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আমিনুলকে স্থানীয়রা আটক করে। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।