শ্রীপুরে মৎস্য খামারের ভাড়াকে
Advertisements

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের আফতাব উদ্দিনের সন্তান নাজমুল হকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করাসহ বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে মামলাও করেন খামার মালিক নাজমুল হক।

গত [২৩ ডিসেম্বর ২০২০] শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত কাদির মোড়লের সন্তান সাহাবুদ্দিন।

ওই অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, বালিয়াপাড়া গ্রামের খামার মালিক নাজমুল বেপারী (৪০), মোতালেব হোসেনের সন্তান আবুল হোসেন (৬০), মৃত রহিম বেপারীর সন্তান আছির বেপারী (৫০), আজিম উদ্দিনের সন্তান রুহুল মিয়া (৪০), মৃত হাসেম আলীর সন্তান আশরাফ আলী (৫৫), হাসুন্নার সন্তান আফতাব উদ্দিন (৩৫) ও সাহাবুদ্দিনের সন্তান নূর মোহাম্মদ (৩০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, [১৯ ডিসেম্বর ২০২০] বিকেল সাড়ে চারটায় সাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজনকে অভিযুক্তরা মাছ চাষের খামারে বাঁধা সৃষ্টি করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে।

পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে পাঁচজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি মাছ চুরির মামলা দায়ের করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে মাছ চুরি হয়নি। ৫ তারিখ থেকে ১৮ তারিখের ব্যবধান ১৩ দিন। ৫ তারিখে চুরির ঘটনা ঘটলে তিনি প্রথম চুরির প্রসঙ্গে অভিযোগ করেছেন কত তারিখে ? ১৮ তারিখে শেষবার চুরি হলে ২৯ তারিখে মামলা হলো কেন ? এসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর কেউ মাছ চুরি প্রসঙ্গে কিছুই জানে না।

ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল ডাক্তার (৭২) ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, খামার মালিক নাজমুল হক একটা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ওই খামারে আমার তিন শতাংশ জমি রয়েছে। আমাকে কোনওদিন ভাড়া দেয়নি সে। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে সে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছি নাজমুলের ভূমিদস্যুর গালি শোনার জন্য ? লাঞ্চিত হওয়ার জন্য ?

এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে খামার মালিক নাজমুল হক জানিয়েছেন, মাপামাপির পর আমার খামারে আফাজউদ্দিন ও সাহাবউদ্দিনদের মোট দুই একর এক শতাংশ জমি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন বিঘা জমি বন্ধক দিয়েছে তারা। অন্যান্যরা যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার খামার থেকে যে পরিমাণ মাছ খেয়েছে, এটা ভাড়ার থেকেও বেশি। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত অথবা গালি দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে মীমাংসা চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই সোহেল রানা জানিয়েছেন, থানায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছিল। পরে খামার মালিকের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করেছে কি না জানা নেই।

Advertisements